বিশ্বের বিখ্যাত 5 টি মিউজিয়াম । The world's famous 5 museums
মানব সভ্যতার ইতিহাসের অন্যতম
সংগ্রাহক বা ধারক বলা হয় জাদুঘরকে
জাদুঘরে ইতিহাস ঐতিহ্য ও
সভ্যতার ধারাবাহিক নিদর্শন পাওয় যায়।
একটি দেশের জাদুঘরকে
ঐ দেশের ইতিহাস ও সভ্যতার সংগ্রহশালা বলা হয়।
তবে বিশ্বের বিখ্যাত কিছু জাদুঘর
শুধু তাদের নিজ দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য কেই তুলে ধরে না
বরং সমগ্র বিশ্বের, ইতিহাস ঐতিহ্য কে বহন করে।
ফলে এসব জাদুঘর সমগ্র বিশ্বের ভ্রমণ পিপাসুদের আকৃষ্ট করে।
তাই আজকের এই প্রতিবেদনটি
সাজানো হয়েছে বিশ্বের বিখ্যাত ৫ টি জাদুঘর নিয়ে
ল্যুভর মিউজিয়াম
ল্যুভর মিউজিয়াম পৃথিবীর অন্যতম, একটি বিখ্যাত মিউজিয়াম।
প্রথম সাড়ির জাদুঘর গুলোর তালিকা তৈরি করতে বলা হলে
এটি নিঃসন্দেহে প্রথম দিকে স্থান পাবে।
এই বিখ্যাত জাদুঘরটি
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত।
এই জাদুঘরকে আধুনিক ইউরোপের ইতিহাসের সংগ্রহশালা বলা যায়।
এর সামনে কাঁচের পিরামিড এটিকে বহুমাত্রিকতা দান করেছে।
এখানে গ্রিক, মিশরীয়, রোমান ও প্রাচ্য দেশীয় অসংখ্য নিদর্শন রয়েছে।
তবে সবচাইতে আকর্ষণীয় বস্তু সমূহ হল
রেনাসা আমলের নিদর্শন সমূহ
যা এটিকে আরো বহুমাত্রিকতা দান করেছে।
এমনকি এখানে রয়েছে ,লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির বিখ্যাত চিত্রকর্ঙ্ক মোনালিসা
এছাড়াও রেম্বান্ট, রুবেন্স ও টশিয়ানের বিখ্যাতসব
কৃতকর্ম স্থান পেয়েছে এই জাদুঘরে
এছাড়াও এখানে আধুনিককালেরও বহু বিখ্যাত শিল্পী
ও ভাস্করের শিল্প ও ভাস্কর্য কর্ম রয়েছে।
যদিও শুরুর দিকে এটি একটি
মধ্যযুগীয় একটি দুর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হত।
প্রথমে ১৬২৪ সালে সম্রাট ত্রয়োদশ লুইয়ের
ব্যক্তিগত সংগ্রহশালা হিসেবে ব্যবহৃত হত।
পরবর্তীতে ১৮৪৮ সালে তা ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় সম্পদে পরিণত হয়
এবং তাকে জাদুঘর হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বর্তমানে এখানে ছয়টি গ্যালারীতে ভাগ করে
দর্শনার্থীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম:
মেট্রোপলিটন মিউজিয়ামটি নিউইয়র্কে অবস্থিত।
এটি ১৮৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
এটিতে প্রায় ২০ লাখের বেশি দর্শনীয় বস্তু রয়েছে।
যা সমগ্র বিশ্ব থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
এখানে ইসলামিক, মিশরীয়, ইন্ডিয়ান ও
গ্রিক কলা/সংস্কৃতি এবং ইউরোপের চিত্র শিল্পের নিদর্শন রয়েছে।
এখানে প্রায় ৬০০০ বছরের মানব ইতিহাসের সন্নিবেশ করা হয়েছে।
এই জাদুঘরে বিখ্যাত এডাম ও ইভের মূর্তি রয়েছে
যা এটিকে আরো ব্যাপক জনপ্রিয়তা উপহার দিয়েছে।
এই জাদুঘরটি এতই বৃহৎ যে
সমগ্র এক দিনে এটি পরিদর্শন করা সম্ভব নয়।
গত বছর দর্শনার্থীদের ভোটের মাধ্যমে
এটি বিশ্বের সবচাইতে জনপ্রিয় জাদুঘর হবার মর্যাদা লাভ করে।
মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্ট
কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থিত
‘মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্ট’ মুসলিম স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন।
এটি একটি অধুনিক জাদুঘর।
পাঁচতলা বিশিষ্ট এই জাদুঘরে রয়েছে
একটি গিফট শপ, পাঠাগার, শ্রেণিকক্ষ এবং
একটি ২০০ আসন বিশিষ্ট থিয়েটার।
নামাজ পরা ও ওজু করার জন্য জাদুঘরে রয়েছে বিশেষ স্থান।
এছাড়া জাদুঘরে আছে রেস্টুরেন্ট, যেখানে অ্যারাবিক খাবারের পাশাপাশি
ফ্রেঞ্চ, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের খাবার পাওয়া যায়।
মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্টের মূল ভবনের পেছনে একটি
২৮০,০০০ বর্গমিটার বিশিষ্ট পার্কও রয়েছে।
মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্ট ৪৫,০০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থিত।
আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০৮ সালের ২২ নভেম্বরে জাদুঘরটি
উদ্বোধন করা হয়।
ব্রিটিশ মিউজিয়াম
ব্রিটিশ মিউজিয়ামটি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত।
এটি ১৭৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের ঐতিহাসিক
নিদর্শন ও প্রন্ততাত্তিক কর্ম এখানে স্থান পেয়েছে।
এখানে প্রায় খ্রিষ্টপূর্ব ১৯৬ সালের প্রন্ততাত্তিক নিদর্শন পাওয়া যায়।
এই মিউজিয়ামকে ইজিপটিয়ান
ঐতিহ্যের এক বিরাট সংগ্রহশালা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তাছাড়া ব্রিটিশদের ইতিহাসের
বড় উৎস হিসেবে একে বিবেচনা করা হয়।
এখানে সর্বমোট ৭০ লক্ষ সংগ্রহ কর্ম রয়েছে ।
এই মিউজিয়ামে বছরে ৬০ লক্ষ দর্শনার্থী পরিদর্শন করে।
তবে এখানে ৪০ লক্ষ সংগ্রহ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।
মাদাম তুসো মিউজিয়াম
মাদাম তুসো মিউজিয়ামটি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ।
এটি পৃথিবীর বিখ্যাত মিউজিয়ামের মধ্যে অন্যতম ।
এটি সর্বপ্রথম
১৮৩১ সালে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় যাত্রা শুরু করে
পরবর্তীতে ১৮৩৫ সালে এটি
আনুষ্ঠানিকভাবে লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত হয়।
এই মিউজিয়ামটি বিখ্যাত হবার প্রধান কারণ হল
বিভিন্ন বিখ্যাত মোমের মূর্তি/মমি সংরক্ষণ করা।
এখানে এরিস্টটল থেকে শুরু করে
স্টিফেন হকিং, অমিতাভ বচ্চন,
শাহরুখ খান এবং পৃথিবীর অনেক কিংবদন্তির
মোমের তৈরি প্রতিকৃতি রয়েছে।
পৃথিবীর বিখ্যাত এসব জাদুঘর নিয়ে
আজকের প্রতিবেদনটি ,আপনাদের কেমন লাগলো
এবং ভিডিও টি সম্পর্কে আপনাদের কোন মতামত থাকলে
কমেন্ট বক্স এ আমাদের জানাতে পারেন
ধন্যবাদ
মানব সভ্যতার ইতিহাসের অন্যতম
সংগ্রাহক বা ধারক বলা হয় জাদুঘরকে
জাদুঘরে ইতিহাস ঐতিহ্য ও
সভ্যতার ধারাবাহিক নিদর্শন পাওয় যায়।
একটি দেশের জাদুঘরকে
ঐ দেশের ইতিহাস ও সভ্যতার সংগ্রহশালা বলা হয়।
তবে বিশ্বের বিখ্যাত কিছু জাদুঘর
শুধু তাদের নিজ দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য কেই তুলে ধরে না
বরং সমগ্র বিশ্বের, ইতিহাস ঐতিহ্য কে বহন করে।
ফলে এসব জাদুঘর সমগ্র বিশ্বের ভ্রমণ পিপাসুদের আকৃষ্ট করে।
তাই আজকের এই প্রতিবেদনটি
সাজানো হয়েছে বিশ্বের বিখ্যাত ৫ টি জাদুঘর নিয়ে
ল্যুভর মিউজিয়াম
ল্যুভর মিউজিয়াম পৃথিবীর অন্যতম, একটি বিখ্যাত মিউজিয়াম।
প্রথম সাড়ির জাদুঘর গুলোর তালিকা তৈরি করতে বলা হলে
এটি নিঃসন্দেহে প্রথম দিকে স্থান পাবে।
এই বিখ্যাত জাদুঘরটি
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত।
এই জাদুঘরকে আধুনিক ইউরোপের ইতিহাসের সংগ্রহশালা বলা যায়।
এর সামনে কাঁচের পিরামিড এটিকে বহুমাত্রিকতা দান করেছে।
এখানে গ্রিক, মিশরীয়, রোমান ও প্রাচ্য দেশীয় অসংখ্য নিদর্শন রয়েছে।
তবে সবচাইতে আকর্ষণীয় বস্তু সমূহ হল
রেনাসা আমলের নিদর্শন সমূহ
যা এটিকে আরো বহুমাত্রিকতা দান করেছে।
এমনকি এখানে রয়েছে ,লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির বিখ্যাত চিত্রকর্ঙ্ক মোনালিসা
এছাড়াও রেম্বান্ট, রুবেন্স ও টশিয়ানের বিখ্যাতসব
কৃতকর্ম স্থান পেয়েছে এই জাদুঘরে
এছাড়াও এখানে আধুনিককালেরও বহু বিখ্যাত শিল্পী
ও ভাস্করের শিল্প ও ভাস্কর্য কর্ম রয়েছে।
যদিও শুরুর দিকে এটি একটি
মধ্যযুগীয় একটি দুর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হত।
প্রথমে ১৬২৪ সালে সম্রাট ত্রয়োদশ লুইয়ের
ব্যক্তিগত সংগ্রহশালা হিসেবে ব্যবহৃত হত।
পরবর্তীতে ১৮৪৮ সালে তা ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় সম্পদে পরিণত হয়
এবং তাকে জাদুঘর হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বর্তমানে এখানে ছয়টি গ্যালারীতে ভাগ করে
দর্শনার্থীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম:
মেট্রোপলিটন মিউজিয়ামটি নিউইয়র্কে অবস্থিত।
এটি ১৮৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
এটিতে প্রায় ২০ লাখের বেশি দর্শনীয় বস্তু রয়েছে।
যা সমগ্র বিশ্ব থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
এখানে ইসলামিক, মিশরীয়, ইন্ডিয়ান ও
গ্রিক কলা/সংস্কৃতি এবং ইউরোপের চিত্র শিল্পের নিদর্শন রয়েছে।
এখানে প্রায় ৬০০০ বছরের মানব ইতিহাসের সন্নিবেশ করা হয়েছে।
এই জাদুঘরে বিখ্যাত এডাম ও ইভের মূর্তি রয়েছে
যা এটিকে আরো ব্যাপক জনপ্রিয়তা উপহার দিয়েছে।
এই জাদুঘরটি এতই বৃহৎ যে
সমগ্র এক দিনে এটি পরিদর্শন করা সম্ভব নয়।
গত বছর দর্শনার্থীদের ভোটের মাধ্যমে
এটি বিশ্বের সবচাইতে জনপ্রিয় জাদুঘর হবার মর্যাদা লাভ করে।
মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্ট
কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থিত
‘মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্ট’ মুসলিম স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন।
এটি একটি অধুনিক জাদুঘর।
পাঁচতলা বিশিষ্ট এই জাদুঘরে রয়েছে
একটি গিফট শপ, পাঠাগার, শ্রেণিকক্ষ এবং
একটি ২০০ আসন বিশিষ্ট থিয়েটার।
নামাজ পরা ও ওজু করার জন্য জাদুঘরে রয়েছে বিশেষ স্থান।
এছাড়া জাদুঘরে আছে রেস্টুরেন্ট, যেখানে অ্যারাবিক খাবারের পাশাপাশি
ফ্রেঞ্চ, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের খাবার পাওয়া যায়।
মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্টের মূল ভবনের পেছনে একটি
২৮০,০০০ বর্গমিটার বিশিষ্ট পার্কও রয়েছে।
মিউজিয়াম অব ইসলামিক আর্ট ৪৫,০০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থিত।
আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০৮ সালের ২২ নভেম্বরে জাদুঘরটি
উদ্বোধন করা হয়।
ব্রিটিশ মিউজিয়াম
ব্রিটিশ মিউজিয়ামটি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত।
এটি ১৭৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের ঐতিহাসিক
নিদর্শন ও প্রন্ততাত্তিক কর্ম এখানে স্থান পেয়েছে।
এখানে প্রায় খ্রিষ্টপূর্ব ১৯৬ সালের প্রন্ততাত্তিক নিদর্শন পাওয়া যায়।
এই মিউজিয়ামকে ইজিপটিয়ান
ঐতিহ্যের এক বিরাট সংগ্রহশালা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তাছাড়া ব্রিটিশদের ইতিহাসের
বড় উৎস হিসেবে একে বিবেচনা করা হয়।
এখানে সর্বমোট ৭০ লক্ষ সংগ্রহ কর্ম রয়েছে ।
এই মিউজিয়ামে বছরে ৬০ লক্ষ দর্শনার্থী পরিদর্শন করে।
তবে এখানে ৪০ লক্ষ সংগ্রহ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।
মাদাম তুসো মিউজিয়াম
মাদাম তুসো মিউজিয়ামটি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ।
এটি পৃথিবীর বিখ্যাত মিউজিয়ামের মধ্যে অন্যতম ।
এটি সর্বপ্রথম
১৮৩১ সালে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় যাত্রা শুরু করে
পরবর্তীতে ১৮৩৫ সালে এটি
আনুষ্ঠানিকভাবে লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত হয়।
এই মিউজিয়ামটি বিখ্যাত হবার প্রধান কারণ হল
বিভিন্ন বিখ্যাত মোমের মূর্তি/মমি সংরক্ষণ করা।
এখানে এরিস্টটল থেকে শুরু করে
স্টিফেন হকিং, অমিতাভ বচ্চন,
শাহরুখ খান এবং পৃথিবীর অনেক কিংবদন্তির
মোমের তৈরি প্রতিকৃতি রয়েছে।
পৃথিবীর বিখ্যাত এসব জাদুঘর নিয়ে
আজকের প্রতিবেদনটি ,আপনাদের কেমন লাগলো
এবং ভিডিও টি সম্পর্কে আপনাদের কোন মতামত থাকলে
কমেন্ট বক্স এ আমাদের জানাতে পারেন
ধন্যবাদ
Comments
Post a Comment